ধোঁকা, প্রতারণা, মজুতদারি থেকে বিরত থেকে আর্থিক লেনদেনে সততা, স্বচ্ছতা বজায় রেখে এবং ভালো গ্রাহকসেবা প্রদান করার ওপর ইসলাম বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে। ইসলাম ব্যবসা-বাণিজ্যে কিছু সুনির্দিষ্ট নীতিমালা মেনে চলার তাগিদ দিয়েছে। সেগুলো হচ্ছে- প্রতারণা ও ধোঁকাবাজি থেকে বিরত থাকা: এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন, এবং যদি তুমি কোনো সম্প্রদায় থেকে খিয়ানতের (চুক্তি ভঙ্গের) আশঙ্কা করো, সে ক্ষেত্রে তোমার চুক্তি তুমি একইভাবে বাতিল করবে। কারণ আল্লাহ খিয়ানতকারীদের পছন্দ করেন না।
(সুরা আনফাল, আয়াত: ৫৮)। ওজনে কম না দেওয়া: মহান আল্লাহ বলেন, যারা মাপে কম দেয়, তাদের জন্য ধ্বংস। এরা লোকের কাছ থেকে মেপে নেওয়ার সময় পূর্ণমাত্রায় মেপে নেয় এবং যখন অন্যদের মেপে দেয় তখন কম করে দেয়। তারা কি চিন্তা করে না যে তারা পুনরুত্থিত হবে সেই মহাদিবসে? যেদিন মানুষ দাঁড়াবে বিশ্ব প্রতিপালকের সামনে। (সুরা আল মুতাফফিফিন, আয়াত : ১-৬)। অধিক লাভের আশায় পণ্য মজুদ না করা: রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যবসায়ী পণ্য আবদ্ধ ও স্তূপ করে সে গুনাহগার। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১৬০৫)।
পণ্যদ্রব্যে ভেজাল মেশানো হারাম: ইসলামের দৃষ্টিতে খাদ্যদ্রব্য, পণ্যসামগ্রী ও পানীয়তে ভেজাল মেশানো একটি মারাত্মক অপরাধ। এছাড়া পণ্যের দোষত্রুটি গোপন রাখা সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কোনো ব্যবসায়ীর জন্য উচিত নয় কোনো জিনিস বিক্রি করা এবং তার ভেতরের দোষত্রুটির কথা বর্ণনা না করা।
(মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ১৭, ৪৫১)। ব্যবসায় সুদ বর্জন করা: সুদকে নিষিদ্ধ করে আল্লাহ বলেন, আল্লাহ ব্যবসা-বাণিজ্যকে বৈধ করেছেন, আর সুদকে করেছেন নিষিদ্ধ। (সুরা আল-বাকারা, আয়াত : ২৭৫)
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।